মজার কৌতুক - জাহান্নাম

একজন মরার পর জাহান্নামে গিয়ে দেখলো


বিভিন্ন দেশের নামে জাহান্নামগুলোর নাম। তার জন্য


যে কোন দেশের জাহান্নামে যাওয়ার ছাড় দেয়া হয়েছে।


আমেরিকার জাহান্নামে গিয়ে পাহারাদারকে


জিজ্ঞেস করল-এখানে শাস্তি টাস্তি কেমন?


পাহারাদার বলল- সবার প্রথমে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসিয়ে ১ ঘন্টা ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়। তারপর পেরেকের বিছানায় এক ঘন্টা শোয়ানো হয়। এরপর এক দৈত্য পিঠে ৫০ টা চাবুকের ঘা দেয়...।


এটা শুনে সে খুব ভয় পেয়ে গেলো ও ভাবল একবার


রাশিয়ার জাহান্নামে গিয়ে দেখা যাক। ওখানেও


পাহারাদার একই কথা বলল।


সে সব দেশের জাহান্নামে গেলো, আর সব পাহারাদারই


একই শাস্তির কথা বলল।


.শেষে সে এক জায়গায় পৌছালো, যেখানে দরজায়


লেখা ছিলো- বাংলাদেশের জাহান্নামে আপনাকে


স্বাগতম। আর দরজার বাইরে মানুষের লম্বা লাইন.....।


তখন সেই লোকটা ভাবল এখানে নিশ্চয়ই কম শাস্তি দেয়া হয়, তাই


এত লম্বা লাইন। পাহারাদারকে জিজ্ঞেস করল- এখানে


কেমন শাস্তি দেয়া হয়?


পাহারাদার বলল- সবার প্রথমে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে


বসিয়ে ১ ঘন্টা ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়। তারপর


পেরেকের বিছানায় এক ঘন্টা শোয়ানো হয়। এরপর এক দৈত্য এসে ৫০ টা চাবুকের ঘা দেয়।


সে বিস্মিত হয়ে পাহারাদারকে জিজ্ঞেস করল- এই


একই রকম শাস্তি তো সব দেশের জাহান্নামেই দেয়া হয়,


তো এই জাহান্নামে এত ভিড় কেনো?


পাহারাদার বললঃ এখানে ইলেকট্রিক চেয়ার তো


আছে কিন্তু কারেন্ট নেই। পেরেকের বিছানা থেকে


পেরেক চুরি হয়ে গেছে। ফাইল এত জমে গেছে যে,


আজকে নাম লেখালে কবে যে ডাক আসবে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, ততদিন আরাম।


আর যে দৈত্যটি চাবুক মারে সে একজন সরকারি কর্মচারী। আসে, খাতায় সই করে বাড়ি চলে যায়। আর এক আধ দিন যদিও বা বেশিক্ষন ডিউটি দেয় তো ঐ দিন দু-একটা চাবুক মারে, আর রেজিস্টারে ৫০ টা চাবুকের ঘা লিখে বেরিয়ে যায়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ