প্রফেসর শ্যামল | ছোটো গল্প

প্রফেসর শ্যামল। বয়স খুব বেশি নয়। একাই থাকেন। একটা মাত্র ঘর। তার চারদিকে বই ছড়ানো। এর মাঝে কোনোভাবে দিন কাটিয়ে দেন।

তার এখানে সাধারণত কেউ আসে না। মাঝেমাঝে দুএকজন ছাত্রছাত্রী ছাড়া। এছাড়া আরো একজন আসে। ছেলেটার নাম সেলিম। দুই বছরের ছোট। তার সাথে শ্যামলের সম্পর্কটা ঠিক কী রূপ সেটা বোঝা দুরূহ ব্যাপার। এর পেছনে সুদীর্ঘ কাহিনী আছে। সেটা আপাতত উহ্য থাক।

আজকে সেলিমের আসার কথা না। রাত হয়ে গিয়েছে এমনিতেই। কিন্তু শ্যামল বুঝতে পারছেন, সেলিম এই মুহূর্তে সিঁড়ি বেয়ে উঠছে। সে কিছুটা চিন্তিত। কারণটা ঠিক ধরতে পারছেন না। একে বলে প্রিকগনিশন। দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল সে। সম্ভবত বুঝতে পারছে না, আসবে কি আসবে না। "ক্লেয়ারভয়েন্স", আনমনে বললেন। শ্যামল নিজেই গিয়ে দরজা খুলে দিলেন। সেলিম কিছুটা অবাক হলো। কিন্তু, নিজেকে সামলে নিয়ে ভেতরে ঢুকল। একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে পড়ল।

শ্যামল খেয়াল করলেন ছেলেটার মোজা একপায়ে পুরোটা ওঠানো না। তাড়াহুড়ার মধ্যে পরা হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। এখন শীতকাল। কিন্তু, সেলিম নিজের টিশার্টের গলার কাছটা একটু ফাঁকা করে মাথা কাত করে যেন উত্তাপ থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইল। শ্যামলের কাছে আরেকটা কিছুতে খটকা লাগল, কিন্তু তিনি ঠিক বুঝতে পারলেন না।

শ্যামল জিজ্ঞেস করলেন, "কী হয়েছে সেলিম? কোনো সমস্যা?"

- শ্যামলদা, আপনি অতিপ্রাকৃত বিষয়ে বিশ্বাস করেন?

- হ্যাঁ, করি

- এগুলো কি সত্যিই আছে? মানে বিজ্ঞানে তো এসব ব্যাখ্যা করা যায় না, ব্যাখ্যাতীত।

- জানি। বিজ্ঞানে অলৌকিক বলে কিছু নেই। কিন্তু, জগতে ব্যাখ্যার অতীত অনেক কিছু আছে। হঠাৎ, এ কথা কেন?

- আপনাকে খুলেই বলছি। আপনি জানেন আমি এসব এক বিন্দুও বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমি নিজের অজান্তেই ছটফট করছি, বুঝতে পারছি না, কীভাবে সম্ভব এগুলো। আমাদের ডিপার্টমেন্টে একসাথে পড়ত, রকিব। দুবছর আগে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে, জানেন বোধহয়। আমরাও ছিলাম ওর সাথে, বেড়াতে গিয়েছিলাম সবাই মিলে। কিন্তু ওকে আমরা বাঁচাতে পারিনি।

তখন একটা অদ্ভুদ ঘটনা ঘটেছিল। পুকুরটা ছিল একটা জঙ্গলের পাশে। সেখানে এক সন্ন্যাসী থাকত। বুক সমান লম্বা দাড়ি। মাথায় পাগড়ি। কিন্তু গায়ে কালো আলখেল্লা। কোনো কারণে গ্রামের লোকেরা একে এড়িয়ে চলত, জানি না কেন। যাইহোক, এমন আচমকা মৃত্যুর ধাক্কা সামলিয়ে ওঠা আমাদের জন্য খুব কষ্টকর ছিল। যেদিন ফিরে আসব, সেদিন সবাই মিলে ব্যাগ গুছিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছি কেবল। পথরোধ করল সেই সন্ন্যাসী। হাতের লাঠি আমার দিকে তাক করে বলল, "ও মরে নাই। ও আবার ফিরব। তোর সাথে ফিরব। তুই চলে যাবি, সব ছেড়ে চলে যাবি। ও ফিইরা আইব"

প্রচণ্ড বিরক্ত হলাম। এসব আজগুবি কথা শোনার মত মনমানসিকতা আমার ছিল না। ঢাকায় ফিরে এলাম সেদিনই। এতদিনে ভুলেই গিয়েছিলাম সেই কথা। কিন্তু, গত একমাস ধরে আমি নিজেকে নিজে চিনতে পারছি না।

"শ্যামলদা", ককিয়ে উঠল সেলিম। "আমার মনে হয় আমি রকিব হয়ে যাচ্ছি। ঠাট্টা করছি না। শুনেছি ভূতে ভর করা বলা একটা বিষয় আছে। তেমন কিছু। আমি আয়নাতে তাকালে নিজের না, রকিবের মুখ দেখি। কেউ আমার নাম জানতে চাইলে ভাষা জড়িয়ে যায়। ভুলে যাই, আমি কে। এ এক অদ্ভুদ ভীতিকর অনুভূতি। মনে হয় যেন, আমি নিজেকে অতল গহ্বর এ হারিয়ে ফেলছি। আমি নিজের আত্মপরিচয় হারিয়ে ফেলছি, শ্যামলদা।"

কিছুটা থামল সেলিম। শ্যামল বললেন,

- শান্ত হও সেলিম। তোমার শেষ কথাগুলো অপরিষ্কার লাগছে আমার কাছে। তোমার মুখাবয়ব একদম ঠিক আছে। আয়নাতে তুমি যেটা দেখছ সেটা স্রেফ হ্যালুসিনেশন। বাকিগুলোর ব্যাখ্যাও অতি সাধারণ। এই মেমোরিটা এতদিন চাপা পড়ে ছিল। আমাদের ব্রেইন প্রতিনিয়ত পুরনো নিউরন কানেকশনের মধ্য দিয়ে পালস পাঠায়। এজন্য পুরনো স্মৃতিগুলো হঠাৎ জেগে ওঠে। তুমি বোধহয় কোনো কারণে স্ট্রেসে আছো। এজন্যই এই ঘটনা মনে পড়ে যাওয়ায় তুমি বিচলিত হয়ে পড়েছ।

- না না, আপনি যেমনটা ভাবছেন অতটা সহজ নয়। আপনি আমাকে খুব ভালো করে চেনেন, আমি অতিপ্রাকৃত বিষয়ে কখনোই বিশ্বাসী ছিলাম না। যদি পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ না হত, আমি এমনটা মোটেই ভাবতাম না।

- তোমার আর কী কী মনে হয়, অন্য কোনো সমস্যা হয়?

- হয় হয়। এটাকে জানি কী বলে... হ্যাঁ, পোজেশন। আমার স্মৃতিবিভ্রম হচ্ছে ইদানীং। মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা করে তখন। এক বন্ধুর সামনে হয়েছিল প্রথমবার। ও বলেছিল, আমি নাকি আবোল তাবোল বলছিলাম, নিজেকে বারবার রকিব বলছিলাম। অথচ, আমার কিচ্ছু মনে নেই।

সেলিমের মুখে অসহ্য যন্ত্রণার ছাপ দেখা দিল। মাথায় হাত দিল। বলল,

- আমার অনেকক্ষণ ধরেই মাথা ব্যাথা করছে। আমার মনে হয় ও ফিরে আসছে। আমি একপ্রকার যুদ্ধ করছি নিজের সাথে। আমার খুব অশান্তি লাগছে শ্যামলদা।

শ্যামলের ভ্রু কিছু কুঞ্চিত হলো। উঠে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে বইয়ের তাকের থেকে একটা বই নামালেন। সেটা রাখলেন টেবিলের উপর। সেলিম সোয়েটার পরে এসেছিল। এখন খুলে ফেলেছে সে। বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে তাকে।

শ্যামল বলতে শুরু করলেন, "তোমাকে একটা ঘটনা বলি। বেশ আগে, ১৯৫৬ সালে তারাপদ নামে একটি ছেলে মাত্র ১২ বছর বয়সে মারা যায়। জায়গাটা মধ্য শ্রীলঙ্কায়। ছোট একটি গ্রাম। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

তবে ঘটনা এখানেই আটকে থাকেনি। এর দুই বছর পর, ১৯৫৮ সালে গ্রামটি থেকে ১৬ মাইল দূরে আরেকটি গ্রামে একটি মেয়ে জন্ম নেয়। নাম রাখা হয় ললিতা। বলাই বাহুল্য, এই দুই পরিবারের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল না। মেয়েটি এক বছর বয়স থেকে বলতে শুরু করে তার আসল বাবা মা ভিন্ন। দুই বছর বয়স থেকে সে তার "আসল" বাবা মায়ের পরিচয় এবং তার যে সেই পরিবারে আরো দুটি ভাই এবং কয়েক বোন আছে সেটাও বলতে শুরু করে।

বিষয়টা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়, যখন আরেকটু বড় হবার পর সে বলতে শুরু করে তার পুনর্জন্ম হয়েছে এবং পূর্বজন্মে সে ছেলে ছিল। এবারে মেয়ে হতে পেরে সে খুশি। সে পূর্বজন্মের ছোটবেলার বিভিন্ন কাহিনী বর্ণনা করতে পারত। তবে জায়গার নাম সে বলতে পারেনি। সাত বছর বয়সে, লোকমুখে শুনে সেই গ্রামটির নাম শনাক্ত করতে পারে। তাকে সেই গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং স্বাচ্ছন্দ্যে সেই বাড়ি, বাড়ির সদস্যদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

তার আগে দেওয়া বর্ণনা এর সাথে বাস্তবতা হুবহু মিলে যায়। পূর্বে মারা যাওয়া ছেলেটি চিনত না এমন তিনজন আত্মীয়কে দেখানো হলে এই মেয়েটি তাদের পরিচয় বলতে পারেনি। কিন্তু, এছাড়া সাতজন সদস্যকে সে অনায়াসে নাম ও বর্ণনা সহ বলতে পেরেছিল।

এই ঘটনাটি প্রোফেসর স্টিভেনসন নিজে ১৯৬৬ সালে শ্রীলংকায় এসে যাচাই করে তার জার্নালের পৃষ্ঠা ১১৮ থেকে ১৩৪ এর মাঝে বর্ণনা করেন। সে সময়ে মেয়েটি তার পূর্ব জীবনের কম বিষয়ই মনে করতে পারত"

শ্যামল একটু থামল। তারপর বলল, "এই ঘটনাটা সনাতন জন্মান্তরবাদ এর সাথে মিলে যায়। কিন্তু এর প্রকৃত কারণ উদ্ধার করা যায়নি। এটা নিয়ে তারপর কোনো অনুসন্ধানও চালানো হয়নি। জগতের একটা নিজস্ব নীতি আছে। কিন্তু এর ফাঁকও আছে। কিছু ঘটনা এমনই হঠাৎ প্রত্যক্ষ হয় যা আসলে হবার নয়। এগুলোকে প্রকৃতি টিকিয়ে রাখে না।"

শ্যামল সেলিমের কাঁধে হাত দিয়ে বললেন,

- সেলিম। তুমি আসার পর একটা বিষয়ে আমার খটকা লেগেছিল। তোমার হাতে কোনো উল্কি ছিল না কখনো। আজ তোমার বাম বাহুতে একটা পেন্টাগ্রামের উল্কি। পেন্টাগ্রাম ব্ল্যাক ম্যাজিকে ব্যবহার করা হয়।

.

পুরনো একটি কাঠের টেবিল। মাকড়সার জালে ছেয়ে আছে। পেন্টাগ্রামের ছক আঁকা। এর উপরে বৃত্তাকার বিন্যাসে কতগুলো মোমবাতি। অর্ধেকটা পুড়ে শেষ হয়ে এসেছে। কালো আলখেল্লায় আপাদমস্তক ঢেকে সামনে দাঁড়িয়ে আছে লোকটি। মোমবাতির চক্রের মাঝে একটা গোল পাত্র। তার সামনে ছোট একখণ্ড কাপড় বিছিয়ে রাখা।

গোল পাত্র কানায় কানায় পূর্ণ করে রাখা তরল থেকে সামান্য একটু তুলে নিল লোকটি। মাথার উপর পর্যন্ত তুলে ঢেলে দিতে লাগল পাত্রের মাঝে।

ভরাট গলায় বলতে লাগল, "ও আদোনাই, ও লাজাই, ও দেলমাই, ও আমারি, ও সাদাই, ও এলয়! আমার ত্রাণকর্তা, পবিত্র সত্ত্বার নামে, তার আহ্বানে, নিজের অনুগ্রহে সাহায্য কর এতে, সাহায্য কর যে মনষ্কামনা করতে চাই পূর্ণ! তা থেকে সকল অশুভ বণ্টক হোক! সর্বশক্তিমানের নামে পবিত্র হোক, উৎসর্গ হোক! আমেন!"

বাইরে প্যাঁচা ডাকছে। কাকের ডানার ঝাপটানি শোনা যাচ্ছে। ক্যাচক্যাচ শব্দে এগিয়ে আসছে কিছু। অন্ধকারটা আরো অন্ধকার হচ্ছে যেন।

চেঁচিয়ে উঠল, "ও লুসিফার! অসীম শয়তানের প্রভু! নরকের দেবতা! আমায় অনুগ্রহ করুন, আমার অপবিত্র রক্তের মাঝে স্থাপিত হোন, মনুষ্য আদলে লাভ করুন আমার রূপ! ও লুসিফার! শক্তি দিন আমায়! ধ্বংস করুন এই পাপীকে!"

হাতে তখন সেই কাপড়ের টুকরো। সেলিমের কাপড় থেকে ছিড়ে নেওয়া। মোম পুড়ে এবার কড়া গন্ধ বের হচ্ছে। ঠিক সামনের মোমের আগুনে ধীরে ধীরে পোড়াতে লাগল কাপড়টাকে। তার মুখে ক্রুর হাসি। অট্টহাসি হেসে উঠল, লুসিফার! নেমে আসুন! ধারণ করুন! মুছে দিন এর অস্তিত্ব! গ্রহণ করুন এর রক্ত! গ্রহণ করুন এর আত্মা!

.

সেলিম অস্থির হয়ে বসে আছে। জিজ্ঞেস করল সে, "পেন্টাগ্রামের মানে কী?"

- আমি ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে খুব বেশি জানি না। যদি তুমি না জেনে থাকো এটা কীভাবে এলো, তার মানে কেউ তোমার উপর স্পেল কাস্ট করেছে।

মুখ বাঁকাল সে। শ্যামল বিভ্রান্ত মুখে বসে আছেন। বুঝতে পারছেন না কী করবে। অস্থিরতা তার মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে।

হঠাৎই আর্তনাদ করে উঠল সেলিম। চিৎকার করে পড়ে গেল মেঝেতে। শ্যামল দ্রুত ধরে উঠোলেন। গোঙাচ্ছে সেলিম। ওর মুখ লাল হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। চোখ স্থির নেই। ওকে টেনে বসিয়ে দিয়ে, তাড়াতাড়ি ফোনের দিকে হাত বাড়ালেন। হাসপাতালে খবর দেওয়া দরকার। সেলিমের অবস্থা ভালো লাগছে না তার।

.

কাপড়টা ভেজা ছিল। পুড়তে সময় লাগছে। সেটা যদিও বড় সমস্যা নয়। প্রভুকে খুশি করতে হবে। অসন্তুষ্ট করা যাবে না তাকে। সময় লাগলে লাগুক।

বাজে গন্ধ বের হচ্ছে। বিড়বিড় করে কিছু বলছে ক্রমাগত লোকটি। মোমবাতির শিখাগুলো কাঁপছে অল্প অল্প।

.

"আ…..! বাঁচাও কেউ আমাকে! আ…!", অস্পষ্ট হয়ে আসছে সেলিমের কণ্ঠ। আর্তনাদ ছাড়ছে। গলার স্বর বিকৃত হয়ে যাচ্ছে বারবার। অমানুষিক উপায়ে দাপাদাপি করছে। অ্যাম্বুলেন্স এ তোলা হচ্ছে তাকে। শ্যামলের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটের ঠিক নিচেই অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়। এজন্য, খুব দ্রুত ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে।

"শ্যামলদা, আপনি আমার বাবা-মাকে খবরটা জানিয়ে দিয়েন"

.

কাপড়টা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ছাইটুকু তুলে নিল ধীরে ধীরে। পাত্রের পানিতে ফেলে দিল। আচমকা বাতাসে বন্ধ হয়ে গেল মোমবাতিগুলো। বুক কাঁপছে তার। খিলখিল শব্দ এল কোথা থেকে। কপাল ঘেমে উঠেছে। চমকে উঠল। কিন্তু দৃষ্টি তখনো স্থির।

লুসিফার সন্তষ্ট হয়েছেন।

.

অস্বাভাবিকভাবে শরীর কাঁপছে সেলিমের। চিৎকার করছে সে। গলার স্বর বোঝা যাচ্ছে না। মুখ রক্তের রঙ ধারণ করেছে।

শ্যামল আর ড্রাইভারটি বাক্যহীন হয়ে দেখছেন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারা।

হঠাৎই থেমে গেল সবকিছু। মাথার উপর কোথা দিয়ে বাদুড় উড়ে গেল। শ্যামল এগিয়ে গেলেন। সেলিমের হাত অস্বাভাবিকরকম ঠান্ডা। ভয়ে ভয়ে কবজি ধরলেন। তারপর থমথমে মুখে পেছনে ফিরে তাকালেন, "ড্রাইভার, ইমার্জেন্সিতে যাওয়া দরকার নেই, মর্গে গেলেই চলবে"

.

মেডিকেল কলেজ মর্গ। মর্গের দারোয়ান অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। তাকে পানির ঝাপটা দিচ্ছে কেউ কেউ। ভয়ে কাঁপছে এখনো। সে শেষ আনা বডিটাকে নিজের বিছানা থেকে উঠে বসতে দেখেছে।

শ্যামলের বলা ঘটনাটি সত্যি। আমি শুধু নামগুলো বদলে দিয়েছি। রেফারেন্সটিও আসল। এখানে যে স্পেল আর পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা সত্যিকার ইউরোপিয়ান ওকাল্টিজমে ব্যবহার করা হয়।

ধন্যবাদ অজানা লেখক এর প্রফেসর শ্যামল বইটি পড়ার জন্য। আপনার মতামত জানতে আমরা আগ্রহী। কমেন্টে আপনার মূল্যবান মতামতটি জানান।

এখন আপনি আমাদের সাবস্ক্রাইব করতে পারেন এখানে ক্লিক করে। ও অজানা লেখক এর প্রফেসর শ্যামল বইটি আপনার বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করে নিন। ও তাঁদেরকেও বিনামূল্যে বই পড়ার সুযোগ করে দিন। 

আপনার যদি কোন আপত্তি থাকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ